DURGAPUR. ইস্পাত কারখানার কর্মীর সাথে জঙ্গি সংগঠনের যোগ : অ্যাকাউন্টে আসত টাকা , অবশেষে পুলিশের জালে

6th December 2021 5:26 pm বর্ধমান
DURGAPUR. ইস্পাত কারখানার কর্মীর সাথে জঙ্গি সংগঠনের যোগ : অ্যাকাউন্টে আসত টাকা , অবশেষে পুলিশের জালে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : দুর্গাপুরের মহিস্কাপুর এভিনিউ থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে ছত্রিশগড় রাজ্যের রায়পুর জেলার পুলিশ এবং আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই ব্যক্তিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত ব্যক্তির নাম রাজু খান। তিনি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মী ছিলেন।
সোমবার সকালে ছত্রিশগড় থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য আবেদন করে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওই ব্যক্তি জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন।তার  একাউন্টে বিভিন্ন সময়ে জঙ্গী সংগঠনের টাকা আসতো সেই টাকা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তো সন্ত্রাসবাদী কাজে।
২০১৩ সালে ব্যাঙ্গালোর থেকে এক দম্পতিকে জঙ্গি সংগঠনের থেকে আসা টাকা লেনদেনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছিল বর্তমানে তারা সাজা কাটছেন জেলে।
সেই ঘটনার সূত্র ধরে রাজু সিং নামের দুর্গাপুরের ওই বাসিন্দার খোঁজ চালাচ্ছিল ছত্রিশগড় রাজ্যের পুলিশ।
সূত্র মারফত খবর পেয়ে আজ সকালে চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে ২০১৩সালে গ্রেফতার হওয়া দম্পতির একাউন্ট থেকে রাজু খানের একাউন্টে টাকা আসতো।সেই টাকা অন্য জায়গায় পাঠানো হতো। আরও এক ব্যক্তির একাউন্টে টাকা আসতো তারও খোঁজ চালাচ্ছে ছত্রিশগড়ের পুলিশ। ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক তাকে চার দিনের ট্রানজিট রিমান্ড দেয়।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।